একদফা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন হেফাজত নেতারা। সেখানে খুব একটা ফল মেলেনি তাই আবারও আলোচনার আকুুুতি জানালেন তারা।
বৃহস্পতিবার বাবুনগরীর বিবৃতি দেয়ার কিছুক্ষণ পর গণমাধ্যমে আসে সংগঠনের মহাসচিব নুরুল ইসলামের বিবৃতি।
বিকালে বাবুনগরী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশের নিম্ন আয়ের গরিব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাব; একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না।’
পরে নুরুল ইসলাম বিবৃতিতে সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আসুন এই পবিত্র রমজান মাসে গণ-গ্রেপ্তার বন্ধ করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজি। সমস্যা যত বড়ই হোক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান বের করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ। হেফাজতের মধ্যেও যদি কেউ অপতৎপরতা চালায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেব ইনশাআল্লাহ।’
মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে সহিংস হয়ে উঠে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় চলতে থাকে হামলা।
গত ২৬ মার্চ থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠা হেফাজতের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে ১১ এপ্রিল থেকে।
এই ১১ দিনে গ্রেপ্তার হয়েছেন সংগঠনের ১৬ জন শীর্ষ নেতা। আর এতদিন উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে এলেও এখন নেতারা কথা বলছেন নরম ভাষায়।
Leave a Reply