ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, পর্তুগাল: ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রতি বছর বেশ কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি এসাইলাম আবেদন করে থাকেন। এর সঙ্গে শিশু-কিশোররাও রয়েছে। ২০২০ সালে ৯৩৫ জন শিশু-কিশোর এসাইলাম আবেদন করেছে।
বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের সর্বোচ্চ আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্সে ২৯০ জন। অতঃপর গ্রিসে ২৫৫ জন এবং ইতালিতে ২০০ জন। আইবেরিয়ান পেনিনসুলার দুটি দেশ স্পেন এবং পর্তুগালে পাঁচজন করে এসাইলাম আবেদন করেছেন। ইউরোপের সর্বোচ্চ শিশু-কিশোরদের এসাইলাম আবেদনকারী দেশ জার্মানিতে আবেদন করেছেন মাত্র ৩০ জন বাংলাদেশি শিশু-কিশোর।
অপরদিকে আমাদের জন্য ভাবনার বিষয় হচ্ছে এদের মধ্যে ৪৯৫ জন শিশু কিশোর অভিভাবকহীনভাবে এসাইলাম আবেদন করেছেন। এদের বেশিরভাগই গ্রিসে অবস্থান করছেন এবং তাদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং স্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার মাধ্যমে বয়সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানিক বিভিন্ন বেসিক এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাস্তব জীবনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তৈরি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নে গত ২০২০ সালে প্রায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৩০ জন শিশু আশ্রয় আবেদন করেছে; যা মোট এসাইলাম আবেদনকারীর এক-তৃতীয়াংশের বেশি। তাছাড়া এরই মধ্যে ১৩ হাজার ৫৫০ জন অভিভাবকহীন শিশু-কিশোর রয়েছে। উক্ত আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বেশিরভাগ আবেদনকারী জার্মানিতে এসাইলাম আবেদন করেছে।
তাছাড়া বেশিরভাগ এসাইলাম আবেদনকারী এশিয়া মহাদেশের এবং এদের মধ্যে সিরিয়া এবং আফগানিস্তান ২টি দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক। অতঃপর আফ্রিকা এবং আমেরিকা, ইউরোপ (ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাহিরের) মহাদেশের বিভিন্ন দেশ রয়েছে।
Leave a Reply