মুরাদ খান :আমার জীবনের সবচেয়ে স্বরণীয় রাত এক দিকে দায়িত্ব পালন করেছি অন্য দিকে হৃদয়টা ছিল খুবই কমল কিন্তু করার কিছু ছিল না। আইনের চোখে “জোনদার আনজিন দ্যাস পার্সনস (zonder aanzien des persoons) Without acceptance of persons. আমাদের কোনো পক্ষ নেওয়ার সুযোগ থাকে না এবং এই মুহুর্তটা আবেদনকারী কিছু বলার থাকে না। টাইম ইস ওভার। নিচে ইমেগ্রাসন এর প্রিজন ভ্যান অপেক্ষা করছে সাথে এই এন ডি পুলিশ। আমরা দুজন উঠব থার্ড ফ্লোরে দ্বিতীয় ফ্লোরে উঠার সাথে সাথে মনে পরে গেল আমাদের সেই সময়টা ৯৬ এর কথা।
গভীর রাত ঘুম থেকে উঠিয়ে সরাসরি এয়ারপোর্ট ওখান থেকে ডিপোর্ট টু স্পেন। আশ্রয়্কারী ব্যক্তির অপরাধ ছিল সে দু দেশে পলিটিকাল এসাইলাম “রাজনৈতিক আশ্রয়” চেয়েছিল. সেটা এখন আর ইমেগ্রেশন আইনে ইউরোপে সম্ভব না ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে সব কিছুই বের হয়ে আসবে। এখানে এটাকে ডাব্লিন কেইস বলে থাকে ডাবলিন রেগুলেশনে কোনো সাধারণ ক্ষমা নেই। যে দেশে প্রথম রাজনৈতিক আবেদন করবে সেই দেশটাকেই প্রথম দেশ হিসেবে গণ্য করা হবে।
কথা গুলো বলার অর্থ হচ্ছে যারাই রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন অন্তত পক্ষে তথ্য জেনে আশ্রয় নিন এবং ইউরোপ দু দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিবেন না তাহলে এরকম ঘটনা শত ভাগ নিশ্চিত ঘটবেই। কারো কিছু করার থাকবে না।
এটি রাজনৈতিক আশ্রয়্কারীদের আবাসস্থান এখানে রয়েছে প্রায় ৪৫০ জন আবেদনকারী। বেশির ভাগই সিরিয়া, এরিথ্রিয়া, আফগান ও ইরাক থেকে আগত।
রুমে ঢুকার পূর্বে মুহুর্তে ইচ্ছা করেই কলিগ ছবিটা মোবাইল বন্ধী করলো। হোয়াট এ এক্সপেরিয়েন্স !!! সবাই ভালো থাকুন।
মুরাদ খান : সাধারণ সম্পাদক,নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগ।
Leave a Reply