ইতালীয় সিনিটে পাশ হওয়া ডিক্রিতে এদেশে যে তিন ধরনের আশ্রয় প্রার্থনা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে তার মধ্যে তৃতীয় যে ক্যাটাগরি রয়েছে অর্থাৎ স্পেশাল প্রটেকশন (Protezione Speciale) কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যারা লিবিয়া রোমানিয়া ইরান তুরান বলকান হয়ে গেইম কিংবা ডাংকিতে বিগত দিনে ইতালিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে তারা মূলত উক্ত স্পেশাল প্রটেকশন ক্যাটাগরিতেই আশ্রয় আবেদনের কেইস মেরে এসেছে। এতে প্রাথমিকভাবে দুই বছরের স্পেশাল স্টে পারমিট দেয়া হতো এবং যা এতোদিন ধরে সুযোগ ছিলো নর্মাল স্টে পারমিট হিসেবে কনভার্ট করে নেয়ার। নতুন ডিক্রি অনুসারে স্পেশাল স্টে পারমিট শুধুমাত্র ছয় মাসের জন্য কেবল একবার নবায়ন করা হবে শর্ত সাপেক্ষে। স্পেশাল স্টে পারমিট কনভার্ট করার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে নতুন ডিক্রিতে। ফলে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশিদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতালিতে আশ্রয় আবেদনের প্রধান দুই ক্যাটাগরি হচ্ছে পলিটিক্যাল এসাইলাম এবং সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন, যার কোনটিই এদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য নয় বললেই চলে। জাতিগত, ধর্মীয় কিংবা গোত্রীয় দাঙ্গা বাংলাদেশে না থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ যেহেতু যুদ্ধবিধ্বস্ত কিংবা দুর্ভিক্ষপীড়িত কোন রাষ্ট্র নয় এবং আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশিদের যেহেতু সুযোগ নেই এমন দাবি করার যে তাদের নিজ দেশে ফিরে গেলে নিশ্চিত মৃত্যুদন্ডের মুখোমুখি হতে হবে, তাই শুধুমাত্র মানবিক বিবেচনার আবেদন নির্ভর স্পেশাল প্রটেকশনের কেইস মারার পথ ধরেই আজ অবধি হেঁটেছে অধিকাংশরা। যাদের বয়স বিশ বাইশ থেকে ত্রিশ বত্রিশের মধ্যে শুধু তারা নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দাবি করে কিন্ডার (বাম্বিনো) কেইস ঠুকে সুযোগ নিয়েছে। সিনেটে পাশ হওয়া ডিক্রিতে ডিপোর্ট ক্যাম্পে সর্বোচ্চ পঁয়তাল্লিশ দিন রেখে যার যার অরিজিন দেশে পাঠিয়ে দেয়ার এবং মানবপাচার অপরাধের শাস্তি ত্রিশ বছর কারাভোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সময় এখন ইতালিতে মারাত্মক প্রতিকূলে।
Leave a Reply