আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে আজ বৃহস্পতিবার দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তালেবান কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘ভয়াবহ’ হামলা হতে পারে-এমন আশঙ্কার পরই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এটি আত্মঘাতী হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা সঠিকভাবে জানা যায়নি। কারা হামলা চালিয়েছে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর থেকে জীবন বাঁচাতে আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছেন বিদেশি নাগরিক ও আফগানরা। তারা হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করছেন। এরই মধ্যে ৮২ হাজারের বেশি মানুষকে উড়োজাহাজে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দেশটি থেকে। কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। সেখানে পাঁচ হাজার ৮০০ মার্কিন সেনাকে সহায়তা করছে এক হাজারের বেশি ব্রিটিশ সেনা।
বিস্ফোরণের ঘটনায় হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রিফ করেছেন। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবিও বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি।
কিরবি এক টুইটে বলেন, ‘কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করছি। এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পরিষ্কার নয়। বিস্তারিত জানলেই আপনাদের জানানো হবে।’
এই বিমানবন্দরে গতকাল বুধবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া উচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল। যেকোনো ধরনের হামলা এড়াতে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা দেয় দেশগুলো।
এদিকে বিমানে বন্দরে যাওয়ার পথে মানুষ হামলার শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)।
Leave a Reply