তারেকুল হকঃ বোঝাই যাচ্ছে একটা উন্নয়ন বিরোধী সর্বনাশা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, নাহলে দুদিনের বৃষ্টিতে সামান্য কিছু পানি জমা হওয়া নিয়ে এতো ট্রল হবে কেন? প্রশাসনের ভিতরও যে ঘাপটি মারা ষড়যন্ত্রকারীরা কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে মাননীয় সাংসদ এবং দু দুবারের নির্বাচিত মেয়রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাও খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে,তাই যদি না হবে কি এমন প্রয়োজন হলো যে বোর্ড অফিসের চ্যায়ারমেন সাহেব নৌকায় করে অফিসে যেতে হবে? এখনতো কোন পরীক্ষা টরিক্ষা ও নেই! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে উন্নয়নের এ মহান জুটিকে হেয় করাই এদের প্রধান উদ্দেশ্যে!! যদি তাই না হয়, অনেক পুরনো কথা ৬০% ৪০% ভাগাভাগির কথাও এখন আবার খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে আনা কেন? এগুলো তো কবেই সিদ্ধান্ত হয়ে চুকেবুকেও গেছে, জনগণ তা মেনেও নিয়েছে, এর পক্ষে রায়ও দিয়ে দিয়েছে! তাহলে? আবার কেন এসব সারফেসে তুলে আনা?? খুব সাহস হয়েছে না??? টাউন হলের গেটে আবার দুয়েকটাকে কুপিয়ে দিলেই আবার সব ঠান্ডা হয়ে যাবে, একটু অপেক্ষা করেন বাবাজী রা!!!
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যে কত কষ্টের তা কি এই নালায়েক গুলো বোঝে?দেখুন না গত ১১ বছর কত কষ্ট করে বালুর মহাল টা উন্নয়নের স্বার্থে এনারা ধরে রেখেছিলেন, কোথা থেকে এক উটকো লোক এসে ৭০ লক্ষ টাকা বেশি দিয়ে এটা ডেকে নিয়ে গেল! কেনরে বাবা, সরকারকে এতো গুলো টাকা বেশি দিয়ে তোর কি লাভ হলো? রাখতে পেরেছিস??প্রশাসন কে দিয়ে বালির মহাল ইজারা দেয়াই বন্ধ করে দিয়েছে না? এবার বুঝ মজা!! সিংহের মত শক্তি শালী আর খলিফা ওমরের মত সৎ আমাদের মাননীয় সাংসদ আর মেয়র মহোদয়ের উন্নয়ন জুটিই হবে আগামীর পুরো দেশের জন্য রোল মডেল।
রাজনীতির ‘কুমিল্লা মডেল’ ধারনাটিকে সর্বব্যাপী করতে হবে, উন্নয়ন এর স্বার্থে বিএনপি,জামায়াত এবং ফ্রীডম পার্টিকে অবশ্যই একজায়গায় নিয়ে আসতে হবে, তাহলেই কেবল শান্তি বজায় থাকবে পুরো বাংলাদেশে। দেখুন না আমাদের কুমিল্লায় মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কে আমাদের মাননীয় নিজের কর্মী বলে মামলা নিষ্পত্তি করিয়েছেন কেবল মাত্র উন্নয়নের স্বার্থে, কোন অসুবিধা হয়েছে? জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ফ্রীডম পার্টি, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ঘুরে আসা একজনকে চেয়ারে বসিয়েছেন তাওতো কেবল উন্নয়নেরই স্বার্থে, কুমিল্লা ক্লাবে রাজাকার পুত্র বসিয়েছেন শুধু মাত্র সমন্নয়ের রাজনীতি কে এগিয়ে নেওয়ার জন্যেই তো! দেখুন না, মায় মহানগর আওয়ামী লীগে পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াত আর ফ্রীডম পার্টি কে একমোডেট করা হয়েছে! তা কিসের জন্য? শুধু মাত্র উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখার জন্যই তো!!???
তো এসব না বুঝে অযথা চেচামেচি করলে বুঝতে হবে আপনারা উন্নয়ন বিরোধী! পঞ্চাশ বছর পরে এসে মেয়র মহোদয় রাজাকার পুত্র ছিলেন কিনা এমন ধরনের প্রশ্ন তোলা অবশ্যই বেয়াদবি! মনে রাখতে হবে স্বাধীন তা যুদ্ধে বিরোধিতা করা মহাচীন আজ আমাদের উন্নয়নের অংশীদার, উন্নয়নের অমোঘ প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ টুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এসব সস্তা আবেগ দেখানোর বালখিল্য আচরনকে আমরা অবশ্যই উন্নয়নের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হিসাবে ই বিবেচনা করবো।
আসুন কোনো ষড়যন্ত্র কারীর পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে, আমরা একসাথে আওয়াজ তুলি, কুমিল্লা এগুলে এগুবে বাংলাদেশ। আর কুমিল্লা কে এগুতে হলে কাকে এগিয়ে দিতে হবে, তাতো আপনারা বুঝতেই পারছেন!
আপনাদের বুদ্ধির উপর আমার অবিচল আস্হা আছে!!!!!!!!
ফেইস বুক থেকে।
তারেকুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ভিপি,চাকসু
Leave a Reply