এড.আনিসুর রহমান মিঠু :কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি যে ৭১ জনের নাম এসেছে, এদের অনেককেই আমি চিনিনা।
এটা হতে পারে আমার ব্যর্থতা, কিংবা ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের পর বা ১/১১ সময়ে তাদের দেখিনি, অথবা তারা এসেছে ২০০৮ সালের পরে।আফসোস এ সকল ত্যাগী নেতাদের আগে দেখিনি।
কমিটিতে আসা এই ৭১ জনেক অনেকেই শিবির অথবা বিএনপি করতেন বলে জানি।এক জন আছেন ফ্রিডম পার্টিতে ছিলেন। তাদের বৌয়েরাও জানতেননা যে, তারা আমার চাইতেও বড় আওয়ামিলীগ নেতা।
কিন্তু তারা অবশ্যই আমার চাইতে যোগ্য।তা না হলে , কমিটিতে তারা আসলো ক্যামন করে !!
এই ৭১ জনের দলের জন্য নিশ্চয়ই আমার চাইতে ত্যাগ অনেক বেশী, জেল খেটেছে বেশী, ঝুকি নিয়েছে বেশী, লেখা পড়া বেশী, মামলায় আসামী হয়েছে বেশী।
ওরা নিশ্চই আমার চাইতে বেশী মিছিল করেছে, বেশী পুলিশের নির্যাতন সয়েছে, অথবা ওদের গ্রহনযোগ্যতা ও পরিচিতি আমার চাইতে বেশী।নেব্দ্রীয় নেতারা না বুঝেতো নিশ্চই অনুমোদন দেন নাই।
যিনি স্বাক্ষর করেছেন, তাঁর সাথে আমার কমপক্ষে ৩০ বছরের সম্পর্ক।অথচ আমি নিশ্চিত, তিনি এই ৭১ জনের কমপক্ষে ৫০ জনকে চিনেন না। তারপরও যেহেতু স্বাক্ষর দিয়েছেন, নিশ্চই এর পিছনে কারন আছে।
তবে কথা হচ্ছে, এসব নাম কমিটিতে থাকা না থাকা কোন বড় বিষয় না। এসবে কিছুই আসে যায়না, মানুষের এসব নিয় কোন আগ্রহ নেই। থাকলে কে বাদ পরেছে, তা নিয়ে এতো আলোচনা হতো না।
এড.আনিসুর রহমান মিঠু :সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ(২০০৩-২০১১)
সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ।
Leave a Reply