এড.আনিসুর রহমান মিঠুঃ চৈতি কর্মকারের ভ্রাম্যমাণ খাদ্য দোকানটিই
চোখে পরলো সিটি কর্পোরেশনের !!
বাবা হীন এক অসহায় হিন্দু মেয়ে একটি ভ্রাম্যমান খাদ্য দোকান খুলেছিলো কুমিল্লা নিউ মার্কেটের কাছে, প্রাথমিক শিক্ষা ভবনের সামনে।
এ দোকান করতে চৈতি তার নিজের ও মায়ের স্বর্ন বন্ধক দিয়ে চল্লিশ হাজার টাকা জোগার করেছিলো। খাদ্যের মান ভালো হওয়ায় দ্রুত প্রচার পেতে থাকে এটি।
সাংবাদিক মহিউদ্দিন মোল্লা স্ট্যাটাস দেয়ায় চৈতির উপর বদ নজর পরে কারো। সিটি কর্পোরেশনের কর্তাব্যাক্তিরা মেয়েটির দোকানটি সরানোর সময়ও দেননি, ভেঙ্গে দিয়ে চলে যান। কুমিল্লা শহরে কি এই একটাই অবৈধ দোকান ছিলো ???
অথচ পাশে আরো অবৈধ দোকান আছে, সেগুলো যেমন ছিলো তেমনই আছে।কুমিল্লা শহরের হাজার হাজার অনিয়ম নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই।যে দোকানের জন্য ট্রাফিক জ্যাম হয়না সেটা কেন ভাংগা হলো!!
ইদানীং ভারতীয় হিন্দি সিনেমার মতো রাজনীতি দেখা যায় মাঝে মাঝে। সর্প হইয়া দংশন করে ওঝা হইয়া ঝাড়ে!
হয়তো দেখবো যার হুকুমে ভেংগেছে, সে-ই আবার মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বাহাবা নিবেন!! টাকা বেশী থাকলে খরচের খাত বানিয়ে নেয়া যায়।
তেমন কিছু ঘটলেও আমার আপত্তি নেই।নাটক সিনেমা যা হওয়ার হউক, তবুও যেনো এই অসহায় মেয়েটি পুনর্বাসিত হয় এটা আমার দাবী।
ফেইস বুক থেকে।
এড.আনিসুর রহমান মিঠুঃসাবেক সাধারন,সম্পাদক-কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply