যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনায় ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে রাষ্ট্রদূত এম.আল্লামা সিদ্দীকী জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্ভোধন করেন। করোনা পরিস্থিতির কারনে সন্ধ্যায় দূতাবাস মিলনায়তনে সীমিত পরিসরে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয় ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রবাসীরা স্বাধীনতা দিবসের উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে শুরুতেই বলেন এ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সকল লাখো শহিদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় নির্দেশনায় লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা, একটি গর্বিত ও প্রত্যয়ী জাতি হিসেবে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। পরিশেষে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ এর লক্ষমাত্রা কে সামনে রেখে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে অবদান রাখতে উদাত্ত আহবান জানান। দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশী খাবারের পরিবেশনায় সান্ধ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
Leave a Reply