ফজলুল বারী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র ভিসি ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান দেরিতে আবেদন করায় কানাডার একটি অনুষ্ঠানে যাবার ভিসা পাননি। অনুষ্ঠানটিও এরমাঝে হয়ে গেছে। কানাডার ভিসার জন্য ৪৫ দিন আগে আবেদন করতে হয়। তার ভিসার জন্য একমাস আগে আবেদন করা হয়েছিল। এটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের একটি পত্রিকা রসালো রিপোর্ট করেছে। লিখেছে আমেরিকার মতো ভিসা নীতি কানাডা দেয়নি। কারন কানাডা আমেরিকার নীতি অনুসরন করে! এরজন্যে নাকি ভিসির ভিসাতে এর প্রতিক্রিয়া পড়েছে! কি কষ্ট কল্পনা!
আমেরিকার কথিত ভিসা নীতি আগামী নির্বাচন কেন্দ্রিক। নির্বাচনী পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করলে কাকে তারা ভিসা দেবে না দেবে তা নির্ধারিত হতে পারে আগামী নির্বাচনের পর। সেই নির্বাচনের এখনও তফসিলও ঘোষনা হয়নি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা কোন সম্পাদকের সংশ্লিষ্ট হবার সুযোগই নেই। এই পত্রিকাটি সব সময় বিএনপি-জামায়াতের চেয়ে উগ্র। বিএনপি-জামায়াতের মনের খবর বুঝতে আমি বরাবর অনলাইনে পত্রিকাটি পড়ি। এর সম্পাদকের সংগে দেশেবিদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতাও আমার সহ অনেকেরই আছে।
বিএনপি-জামায়াতের আমলে পত্রিকাটি দিনকাল ইনকিলাবের পর সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন পেতো। এখন এটি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে আনুকূল্য পায়। পত্রিকার রিপোর্টে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনের কোন বক্তব্য বা ব্যাখ্যা নেই। মিডিয়ার স্বাধীনতার কি অপব্যবহার!
ভিসার ব্যাপারটি পুরোপুরি একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশও অনেক ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তাকে তার পড়ুয়া ছেলের সংগে অস্ট্রেলিয়া আসতে ভিসার জন্য তার ঢাকার বাড়ির দলিলও জমা দিতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় কেউ সাবিনা ইয়াসমিনকে আনতে গেলেও ভিসা না হওয়া পর্যন্ত তা গোপন রাখে। কারন প্রতিপক্ষের কেউ একজন ইমেইল করে দিলেই তা আটকে যেতে পারে! এইতো আমাদের দেশ!
ফেইস বুক থেকে।
ফজলুল বারী, সাংবাদিক, অস্ট্রেলিয়া।
Leave a Reply