মাত্র কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টির পানিতে কুমিল্লা সৃষ্ট হয়েছে জলাবদ্ধতা জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। তলিয়ে গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রধান সড়কসহ অলি-গলির রাস্তাঘাট। নগরীর অধিকাংশ সড়ক ডুবে গেছে হাঁটু পরিমাণ পানির নিচে আবার কোথাও তারও বেশি। নিছতলার বাড়িঘর-দোকান পাটের ভিতরেও ঢুকে পড়েছে পানি। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনার নোংরা দুষিত পানি এখন রাস্তার উপর থৈ থৈ করছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরের রাস্তায় চলাচল করার ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কর্মজীবি নারী-পুরুষ, রোগী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। নগরীর অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নগরীর অত্যন্ত ব্যস্ততম মনোহরপুর শিক্ষাবোর্ড এলাকা থেকে শাকতলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) কার্যালয়ের সামনে দিয়ে জাঙ্গালিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিটাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের অবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়েছে। নগরীর ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট, নকশা বহির্ভূত বহুতল ভবন ও বাড়িঘর নির্মাণ, রাস্তা ও ড্রেনের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ, সরু পরিসরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে একেবারে ধীরগতিতে পানি নিষ্কাশন হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা অনেকটা স্থায়ী রুপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে নগর কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, সড়ক বিভাগ কুমিল্লা-বেগমগঞ্জ ফোর লেন করার কারণে টমছম ব্রিজ ও কান্দির পাড়ের খাল সরু হয়ে গেছে। এই কান্দিখাল দিয়েই নগরীর পানি ডাকাতিয়া নদীতে যায়। এ ছাড়া ডাবল রেললাইন নির্মাণের ফলে অনেকগুলো ছোট ছোট কালভার্ট বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে কুমিল্লা নগরী থেকে পানি সরতে সময় লাগছে। কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান কুমিল্লাতে আবারও অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। রোববার সকাল ৬টার আগে ১৩ মিলিমিটার ও ভোর ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়ছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চলতি সপ্তাহ এবং আগামী সপ্তাহে মাঝারি ও ভারি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নগরীতে পর্যাপ্ত ড্রেন রয়েছে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে পানি নিষ্কাশনের প্রধান খালটিতে পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ধীরগতিতে যাচ্ছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সিটির ১৩০ জন কর্মী কাজ করছে
Leave a Reply