নবজাতক ও ছোট শিশুর খাবার বা ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়াং চাইল্ড ফিডিং (আইওয়াইসিএফ) বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ৯১ দশমিক ৫ স্কোর অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে এ স্কোর ছিল ৮৬।
ডব্লিউবিটিআই জানিয়েছে, নীতিমালা ও কর্মসূচির সূচকে বাংলাদেশ জাতীয় নীতি, কর্মসূচি ও সমন্বয়ে ৭, শিশুবান্ধব হাসপাতালের উদ্যোগে ৮, আন্তর্জাতিক কোড বাস্তবায়নে ৯, মাতৃত্ব সুরক্ষায় ৮ দশমিক ৫, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি যত্নের পদ্ধতিতে ৯, মায়েদের সহায়তা এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় ১০, তথ্য সহায়তায় ১০, নবজাতককে খাওয়ানো ও এইচআইভিতে ১০, জরুরি অবস্থায় নবজাতককে খাওয়ানোয় ১০ এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে ১০ পেয়েছে।
এ ছাড়া চর্চার সূচকে জন্মের পরপর বুকের দুধ খাওয়ানোয় বাংলাদেশের স্কোর ৬৯ এবং একাধারে প্রথম ছয় মাসে বুকের দুধ খাওয়ানোয় ৬৫ পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন এস কে রায় বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ক্রমাগতভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর কার্যক্রমকে জোরদার করেছে।
বাংলাদেশ আইওয়াইসিএফের সব সূচকে আরও উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট রয়েছে।
তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে লিবিয়া। তাদের স্কোর ১৯। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭৯তম, তাদের স্কোর ৪৫। এ ছাড়া ৪০ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আছে ৮৬তম অবস্থানে। যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৬৫তম, তাদের স্কোর ৫০ দশমিক ৫। জার্মানির অবস্থানও নিচের দিকে, ৩৩ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে তারা আছে তালিকার ৯৫তম স্থানে। জার্মানির পরেই অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার, তাদের স্কোর ২৫ দশমিক ৫।
Leave a Reply