রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আস্থার সংকট, চিকিৎসা সেবায়, বছরে পাঁচ লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নেয় বাংলাদেশ বিশ্বের মডেল হিসেবে কাজ করছে: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যার পর আত্নহত্যা করলেন ইতালিয়ান চিকিৎসক কুমিল্লা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা, আবার শুরু কবে স্মার্টফোনে মানুষের আসক্তি দেখে বিরক্ত মোবাইল আবিষ্কারক রিকশা হারিয়ে আহাজারি: ৩০ মিনিটে তফিজুলকে ৩৯টি নতুন রিকশার অফার ‘আপা’ বলায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন চিকিৎসক ভেনিস বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল স্কটল্যান্ডের সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত “হামজা ইউসুফ” বাজারের ইফতার, কি রঙ খাচ্ছি, কে জানে!

মামুনুলের ‘তৃতীয় প্রেমিকা’র সন্ধান

আমাদের সময়
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪৭৪ বার
মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হকের ‘তৃতীয় প্রেমিকা’র সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জান্নাত আরা ঝর্নার মতো ডিভোর্সি এই নারীর সঙ্গে মামুনুল হকের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিট মামুনুল হক সম্পর্কে ছায়া অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই তথ্য পায়।

এই নারীকে এতদিন তারা প্রথম স্ত্রী ধারণা করেছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিনে মামুনুল হকের একাধিক ফোনালাপ ফাঁস ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তৃতীয় প্রেমিকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।

জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীর সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মামুনুল হক। ওই নারীর ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ওই নারী একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যেখানে শিক্ষকতা করেন তার পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ওই নারী। এই বাসাতেই মাওলানা মামুনুল মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করতেন। ওই মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা হলেন মামুনুল হক। এই সুবাদে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য প্রমাণ হাতে রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে মাওলানা মামুনুল হক ও ওই নারীর একাধিক ফোনালাপ হাতে এসেছে। ফাঁস হওয়া এসব ফোনালাপের মাধ্যমে তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ও ওই শিক্ষিকার বাসায় যাতায়াতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর একটি ফোনালাপের তার তৃতীয় প্রেমিকা সম্পর্কে কিছুটা তথ্য পাওয়া যায়। ওই ফোনালাপে রয়েল রিসোর্টে থাকা অবস্থায় মুফতি এনায়েতুল্লাহকে ফোন করেছিলেন তিনি। এসময় মুফতি এনায়েতুল্লাহকে কথিত স্ত্রী নিয়ে রিসোর্টে যাওয়ার কথা জানালে এনায়েতুল্লাহ জিজ্ঞাসা করেন ‘কোন ভাবী, কাপাসিয়ার?’ মামুনুল হক উত্তরে বলেন, না, খুলনার। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুফতি এনায়েতুল্লাহ কোনও মন্তব্য করতে রাজী হননি।

গত ২৬ মার্চ থেকে মোদিবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হক ওই নারীর বাসায় গিয়ে একান্ত সময় কাটিয়েছেন। ৪৯ সেকেন্ডের অডিওতে মামুনুল ওই নারীকে বলেন, ‘হ্যালো আমি আসছি।’ উত্তরে ওই নারী বলেন, ‘চলে আসছেন? গেট খোলা আছে।’ মামুনুল বলেন, ‘গেট খুলে আমাকে রিসিভ করার ব্যবস্থা করো। এছাড়া কেউ আছে নাকি দেখো আগে।’ ওই নারী আচ্ছা বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। ওই বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর মামুনুল হক ও ওই নারীর কথোপকথনের আরেকটি ফোনালাপও ফাঁস হয়েছে। সেখানে তাদের কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো-

মামুনুল: চলে আসছি। বুঝছো…………

নারী: ঠিক আছে। শুনছি।

মামুনুল: চোরের মতো কথা কও কিল্লাইগা। জোরে জোরে কথা কইতে পারো না?

নারী: জোরে কে কমু। বেশি করে কমু। সমস্যা কি?

মামুনুল: হে হে হে…. গুড নাইট। ফ্রেস-ট্রেস হয়ে নামাজ পড়ে আমার জন্য দোয়া করো। বুঝছো।

নারী: কি হইছে?

মামুনুল: ফ্রেস হইয়া নামাজ-টামাজ পরবা না?

নারী: হু।

মামুনুল: নামাজ পড়ো আর আমার জন্য দোয়া করো।

নারী: বাসায় পৌঁছে একটা মেসেজ দিয়েন।

মামুনুল- বাসায় পৌঁছে মেসেজ দেওয়ার কি আছে? বাসায় তো পৌঁছায়া গেছি।

নারী: কি হইছে।

মামুনুল- বাসাতো এইখানে।

নারী: আচ্ছা…. যান।

মামুনুল- আচ্ছা।

নারী: আসসালামু আলাইকুম।

ফাঁস হওয়া আরেকটি ফোনালাপে মামুনুল হক ও ওই নারীর প্রায় ৩ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের অডিওতে মামুনুল ও ওই নারী রাতে বাইরে একসঙ্গে কাটানোর বিষয়ে কথা বলেন। এছাড়া ওই নারীকে তাকে সমুদ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাও মনে করিয়ে দেন। সেই ফোনালাপ নিচে তুলে ধরা হলো:

নারী: আসসালামু আলাইকুম।

মামুনুল: ওলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ।

নারী: দেখছো।

মামুনুল- না।

নারী: তাহলে আগে প্লানটা বলেন।

মামুনুল- পিলান-টিলান আর বলতে পারুম না। হাতে সময় বের করতে পারি কিনা। পারলে তখন কি করবো সেটা বলো।

নারী: আমি বলি শোনেন। আপা আছে না।

মামুনুল- হ্যাঁ।

নারী: আপার ইবনে সীনায় কিছু টেস্ট আছে।

মামুনুল- হ্যাঁ।

নারী: চাইছিলাম আজকে টেস্টগুলো করতে দেওয়ার জন্য।

মামুনুল- হ্যাঁ।

নারী: আমি বের হলেও তো এদিকে কাজগুলো পারবো না। আর আপার টেস্টের জন্য বের হলে সাড়ে ৩টার পরে বের হবো।

মামুনুল: সাড়ে ৩টায় বের হও। আমার প্রোগ্রাম আরও পরে। তারপর কি করবা। ওনি কি করবে তুমি কি করবা।

নারী: বাসায় নিয়া আমু। আমারে জিগাইসে দেরি হলো কিল্লায়গা। আমি বলেছি ডাক্তারের সিরিয়াল পাইতেছিলাম না। সিরিয়াল পাইতে দেরি হইছে। পরে আমি বলছি আর সমস্যা নাই। আমি বাসায় একলা থাকতে পারবো। থাকতে তো পারবো এটা আমিও জানি। সমস্যা কি? থাকবো। কিন্তু আমি যদি রাতে ব্যাক করি। রাতে তো মনে হয় ব্যাক করা হবে না। আসলে সকালে। বুঝছো।

মামুনুল: সেরকমই তো। এখন কি করবা বলো। ঝামেলা হয়ে গেলো।

নারী: আমারে নিয়ে না আপনার কই যাওয়ার কথা।

মামুনুল: কোথায়, বলো।

নারী: হু

মামুনুল: কই যাওয়ার কথা।

নারী: সমুদ্রে যাওয়ার কথা।

মামুনুল: না। সেটা তো আলাদা, আলাদা প্রোগ্রাম করতে হবে। সেটা তো আরও কয়েকদিন পরে করবো ইনশাআল্লাহ।

নারী: আচ্ছা। আপনি সময় পেলে করবেন। আমি আপারে টেস্ট করায়ে, হয়তো টেস্ট শেষ হতে রাত ৮/৯টা বাইজে যাইতে পারে।

মামুনুল: ওরে বাপরে বাপ।

নারী: আল্ট্রা করে যে উনি বসে ৬টায়। ও তো একলা আসতে পারবো না এটা কয়ে লাভ না। বাসা পর্যন্ত। আজকে মনে হয় না হইবো।

মামুনুল: আচ্ছা ঠিক আছে।

নারী: আর যদি মনে করেন খুব বেশি সমস্যা তাহলে আজকে না কালকে গেলাম। কালকে শনিবার। এখন আপনার ওপর নির্ভর। আপনি তো সময় বের করা সো টাফ।

মামুনুল: সারাদিন তো কাজ-কাম। কোনো কিছু সহজ না।

নারী: এহন আপনার ইচ্ছা। আমারে যা কইবেন তাই। আমার অতো শখ নাই।

মামুনুল: আচ্ছা তুমি তোমার মতো কাজ চালাইতে থাকো। টেস্ট-মেস্ট করাও তারপর দেখি।

নারী: আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে আমি সাড়ে ৩টার পর আপারে নিয়ে বেরুবো।

মামুনুল: ঠিক আছে।

নারী: আচ্ছা, আসসালামু আলাইকুম।

মামুনুল: ওলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ।

ফাঁস হওয়া আরও একটি ফোনালাপ:

নারী: আসসালামু আলাইকুম।

মামুনুল- ওলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ। কি অবস্থা। ঝামেলা নাকি।

নারী: না। বলেন।

মামুনুল- কথা এমনে কইতাছো ক্যান। মনে হয় যে ঘুমায় ঘুমায় কথা কইতাছো।

নারী: ঘুমায় ঘুমায় কথা বলতাছি না। ক্লাসে আছি। অফিসে বসেন। আমি আসতাছি।

মামুনুল- কেন আমি অফিসে বসবো। আমি অফিসে বসবো না। আমি এখন কথা বলবো এবং যা ইচ্ছা তাই বলবো।

নারী: বাড়াবাড়ি করতাছেন যে

মামুনুল- কি বাড়াবাড়ি কি করছি আবার। কথা বলা মানুষের বাক স্বাধীনতা।

নারী: আপনি তো আমার বাক স্বাধীনতা হরন করছেন। পোলাপাইনের সামনে অনেক কিছু বলতে পারছি না।

মামুনুল- হা হা হা

নারী: মজা নিতাছেন।

মামুনুল- এটা ঠিক না, এটা ঠিক না। একজনকে লাইনে রাইখা আরেকজনের সঙ্গে কথা বলা। না এটা ভদ্রতা পরিপন্থী কাজ। ওনারা থাকলে এখন তো আর যাওয়া যাইবে না।

নারী: এক ঝামেলার মধ্যে এত রস আসে কোত্থেকে।

মামুনুল- আজকেই বিকালে, সন্ধ্যায় আসতাছি।

নারী: আরে নাহ।

মামুনুল- আচ্ছা ঠিক আছে তুমি জানাও।

-বাংলা ট্রিবিউন

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2023 DeshPriyo News
Designed By SSD Networks Limited
error: Content is protected !!