মিথুন ভূঁইয়ার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে কুমিল্লায় সর্বস্তরের জনগনের মানববন্ধন
তোফায়েল আহমেদ : আজ সোমবার নগরীর পূবালী চত্বরে মিথুন ভূঁইয়ার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে কুমিল্লায় সর্বস্তরের জনগনের মানববন্ধন করেছেন। এতে কুমিল্লার হাজার হাজার মানুষ নারী,পুরুষ, যুবক বৃদ্ধ খুনিদের ফাঁসি চাই লেখা সম্মিলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করেছেন। খুনিদের ফাঁসি চাই, আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত কুমিল্লা চাই স্লোগানে স্লোগানে কম্পমান হয়ে পড়ে পুরো কুমিল্লা শহর। কুমিল্লার সেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতা আয়োজিত এই মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন বিসিবির কাউন্সিলর ও কুমিল্লার ক্রিকেট কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম রনি সহ জাগ্রত মানবিকতার সকল নেতৃবিন্দ।
উল্লেখ ‘মাদক কারবারে বাধা দেয়ায়’ ছুরিকাঘাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০ টায় মারা যান মিথুন ভূইয়া।
মিথূন ভূঁইয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জাগ্রত মানবিকতা’র কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। এলাকায় মাদক কারবারি ও সেবীদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোয় তাদের রোষানলে পড়েন। মাদক কারবারে বাধা দেয়ায় তাকে প্রাণ দিতে হলো।
পুলিশের সূত্রমতে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিথুন ভূঁইয়া মারা যান।
তাকে হত্যায় জড়িত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর প্রফেসরপাড়া এলাকা থেকে শুক্রবার বেলা পৌনে ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. মেরাজ ও তার সহযোগী শরিফুল ইসলাম রাসেল। তারা একই এলাকার বাসিন্দা ও সম্পর্কে মাম ভাগিনা এবং সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে আসা এক নেতার সহচর। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম।
মিথুন ভূইয়ার বাবা লিটন মিয়া জানান, ২৫ আগস্ট তার ছেলে বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় মেরাজ হঠাৎ এসে মিথুনকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করেন। এতে তার তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
স্থানীয়রা মিথুনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।
Leave a Reply