রাজিব হাসানঃ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করে পরিবারকে নিয়ে স্থায়ী হবার সুবর্ণ সুযোগ কেন হারাবেন ?
১.যুক্তরাজ্যের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ আপনার জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাহায্য করবে । আপনাকে কেবল বিশ্ব-মানের শিক্ষার অভিজ্ঞতা দেবে না, পাশাপাশি বহু সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনধারার কাছেও উন্মোচিত করবে।
২. স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে পারলে , সাথে করে আপনার সন্তান এবং স্বামী/ স্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারবেন ।
৩. যুক্তরাজ্যে বিনামুল্যে সন্তানদের স্কুল -কলেজে পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে । সেই সাথে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ফ্রি রয়েছে ।
স্টুডেন্ট ভিসায় কি কি লাগবে ?
১. IELTS ফর UKVI (অ্যাকাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং) থেকে মিনিমাম ৫:৫ স্কোর থাকলে ভিসা পেতে ভালো হবে । IELTS লাইফ স্কিল পরীক্ষা গুলি UKVI অনুমোদিত কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
২. ব্যাংক স্ট্যাটম্যান্ট
৩. প্রথম বছরের টিউসন ফি দিয়ে আসতে হবে । আপনার কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে উপর টিউশন ফী নির্ভর করবে ।
৪. CAS লেটারে উল্লেখিত এবং ভিসা রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো প্রকার কাগজপত্র জমা দিবেন না। প্রতিটি ডকুমেন্ট যেনো ইংরেজিতে হয় এবং কোনো প্রকার ভুল তথ্য কিংবা ভুল কাগজপত্র প্রদানে বিরত থাকুন।
৫. এনএইসএস ফি- NHS
🇬🇧 কি কি সুযোগ- সুবিধা :
১. হালাল খাবারের পাশাপাশি ইসলামিক পরিবেশে পরিবারকে রাখতে পারবেন ।
২. মাদ্রাসায় সন্তানের পড়াশোনা করাতে পারবেন ।
৩. সন্তাদের জন্য ভালো পড়াশোনার পরিবেশ উপহার দেয়া ।
৪. ‘ব্রিটেনে পড়ালেখা চলাকালীন সময় পার্টটাইম এবং হলিডেতে অর্থাৎ ছুটির সময় ফুলটাইম কাজের সুযোগ রয়েছে এছাড়া ও রয়েছে ইন্টার্নশিপ এবং প্লেসমেন্ট এর সুবিধাসহ কোর্স শেষে দুই বৎসর ফুলটাইম কাজ কিংবা ব্যবসার সুযোগ।
৫. স্টুডেন্টদের ডিপেন্ডেন্টদের ক্ষেত্রে ফুলটাইম কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
৬. একটু কষ্ট করে ১০ বছর পার করতে পারলে ব্রিটিশ সিটিজেনশীপ পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ।
৭. হাফেজ হলে বাসায় বাসায় কোরআন শিখাতে পারবেন ।
৮. বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত হতে পারবেন ।
৯.উচ্চশিক্ষা, বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধাসহ কর্মস্থান আর উন্নত ভবিষ্যতের পছন্দ তালিকার শীর্ষে যুক্তরাজ্য
🇬🇧 হালাল আয়ের পথ :
১. বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি , ল ফার্ম-একাউন্টেন্ট ফার্ম-স্টুডেন্ট কন্সালটেন্সি ফার্মে চাকুরীর সুবিধা।
সুপার স্টােরের চাকুরী করা , ফুড ডেলিভারী ,ফ্রিলান্সিং করার সুযোগ , ছোট-বড় ব্যবসার চালু করা , রেস্টুরেন্ট-হসপিটালিটি – সিকিউরিটি সেক্টরে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।
🇬🇧 কি ধরনের কষ্ট- সমস্যা হতে পারে ?
১.ধৈর্য্য ধরে দশটি বছর একটু কষ্ট করতে হবে । যে কষ্ট আপনি দেশে থাকলেও করতে হতো ।
২. শেয়ার হাউজে বসবাস করতে হতে পারে । লন্ডনে বাসা ভাড়া ২ বেড রুম (১৫০০-১৮০০ পাউন্ড ) ।
৩. একটু বেশি সময় জব করতে হতে পারে ।
৪. উচ্চ টিউশন ফি
৫. আসার সাথে সাথে চাকুরি পেতে কষ্ট হতে পারে ।
🇬🇧 প্রতি মাসের খরচের প্রাথমিক আইডিয়া :
১. বাসা ভাড়া – আপনার উপর নির্ভর করবে । মাসিক ডাবল রুম ৬০০ পাউন্ডের বেশি হবে (গ্যাস , ইলেকট্রিক সহ )
২. ফোন বিল – ১০-৪৫ পাউন্ড
৩. ট্রাভেল খরচ- সপ্তাহে ২০-২৫ পাউন্ড
৪. খাবার (লন্ডনের বাসায় রান্না করে খেলে খুব বেশি লাগে না )
৫. টিভি ফি – মাসিক ১৫ পাউন্ড
৬. অন্যান্য খরচ
চার সদস্যের পরিবারের জন্য মোটামুটি থাকতে হলে ২১০০- ২৭০০+ পাউন্ড লাগবে ।
দুই সদস্যের জন্য ১২০০- ১৮০০+ পাউন্ড লাগবে ।
🇬🇧 যাহারা না আসলে ভালো :
১. যাদের অবস্থান দেশে খুবই ভালো ।
২. যারা দেশকে খুব ভালোবাসেন
৩. যেসব স্বামী – স্ত্রী সবর্দা বড় ধরনের ঝগড়া করেন ।
৪. যাদের পিতা-মাতাকে দেখাশুনা করতে হয় ।
৫. যাদেরকে বড় অংকের অর্থ দেশে টাকা পাঠাতে হতে পারে ।
বি দ্র: আমি কোন স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি করি না । তবে আমি অনেক গুলো স্টুডেন্ট কন্সালটেন্সির ডিজিটাল মার্কেটিং , ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং এসইও সাপোর্ট দিচ্ছি । এছাড়া আমার কথা শতভাগ সঠিক না ধরে , আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথেও আলাপ করুন । আমি শুধু মাত্র একটি প্রাথমিক ধারনা দিয়েছি।
রাজিব হাসান, সাংবাদিক ও প্রকৌশলী, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।
ফেইস বুক থেকে।
Leave a Reply