১৪ তারিখ রাতে অফিসে বুড়িচং এর ফরিজপুর,ময়নামতি এলাকা থেকে অপহৃত এক শিশু আমির হামজা(৫) এর মা ও পরিবারের লোকজন অফিসে এসে আমার সাথে দেখা করতে চাইলে আমি যথারীতি একটা প্রোগ্রাম এ ছিলাম অফিসের বাইরে। ফোন নম্বর নিয়ে কল দিয়ে বিস্তারিত জানায়,তাদের ৫ বছরের ছেলে অপহরণের শিকার হয়েছে এবং ফোনে মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারী।
দফায় দফায় আলোচনা, লোকেশন পরিবর্তন, ব্যক্তি পরিবর্তন,মোবাইল নম্বর পরিবর্তন, দাবিকৃত টাকা না পেলে লাশ পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি এসবের সাথে সাথেই চলতে থাকে আমাদের কার্যক্রম আমাদের প্রস্তুতি আর ট্র্যাকিং।
বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাড়ির এসআই রাজীবের নেতৃত্বে আমাদের টিম ফলো করতে থাকে মুগদাপাড়া থেকে গাজিপুর, গাজিপুর থেকে সাভার।
অবশেষে প্রায় ৩০ ঘন্টা পর সাভারের ইউনাইটেড আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে অপহৃত শিশুটিকে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে এস আই রাজীবের টিম, গ্রেফতার হয় অপহরণকারী সহ তার সহযোগী বাকিরা।
পুলিশের চাকরি নিয়ে নানা মত নানা ভাবনা নিজের মনেও থাকে,সমাজেও আছে।
তবে মাঝে মাঝেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে তিনি
মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর এমন সুযোগ দিয়েছেন বলে, ছোট্ট জীবনে সব পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলানোর জন্য এমন কিছু বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের হাসি কি যথেষ্ট নয়???
মো: কামরান হোসেন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সদর সার্কেল,কুমিল্লা।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply