মাহফুজ ফারুকঃ গত ৪ সেপ্টেম্বর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এম পি বাংলাদেশ দূতাবাসে ই – পাসপোর্ট উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বার্লিনে আসেন।
সর্ব ইউরোপিয়ন আওয়ামীলীগের ( সবেধন দুইজনের কমিটি। নেত্রী যেটুকু করেছেন । তারপর তারা নিজেদের কমিটিতে কাউকে নিতে পারলেন না বা চাইলেন না।) কারণে জার্মান আওয়ামীলীগ স্পষ্টত দুই ভাগে বিভক্ত।মন্ত্রী মহোদয় সরকারি কাজের বাইরে দুই গ্রুপের সাথেই আলাদা করে সভা করেছেন। দুই গ্রুপকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী মহোদয় যখন বার্লিন থেকে মিউনিখ গেলেন পারিবারিক ছুটি কাটাতে, সেখানে অতর্কিতভাবে চুরের মত করে লুকিয়ে এসে হাজির হলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগ’ র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
মিউনিখে আওয়ামী লীগের তিনটি স্থানীয় কমিটি বিদ্যমান। তিনটি কমিটির সাথেই মন্ত্রী মহোদয়ের যোগাযোগ, দেখা সাক্ষাত থাকলেও একটি কমিটির নৈশভোজের সভায় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে এসে ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগ ‘র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যোগ দেন। অন্য কমিটির লোকজন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও তারা যোগাযোগ না করে নিজেদের লুকিয়ে রাখেন এবং নিভৃতে এক সময় মিউনিখ ত্যাগ করেন।
আমরা সবিনয় আপনাদের দুজনের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই-
কার স্বার্থ হাসিল করতে আপনারা মিউনিখএসেছিলেন ?
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে যাদের হাতে মার খেয়ে পালিয়েছিলেন, তাদের জন্য তদবির করতে ?
বার্লিনে দুই গ্রুপই মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে সভা করলেন। সেখানে আসার সাহস দেখালেন না কেন ? কারণ, আপনারা জানেন, জার্মান আওয়ামীলীগ নিয়ে তাদের বিভক্ত করে যে অন্যায় খেলায় আপনারা মেতে উঠেছেন – তার জন্য আপনাদের ভাগ্যে ফ্রান্কফোর্টের চেয়েও করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
ইউরোপের কোন দেশের নেতা / কর্মীদের ভোটে আপনারা নির্বাচিত নন।আমাদের নেত্রী আপনাদের মনোনয়ন দিয়েছেন। নেত্রীর কথাই শেষ কথা। আপনাদের নেতৃত্ব মেনেই আমরা রাজনীতি করতে চাই। আপনারা কোন অন্যায় বা অসাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিলে তার জবাবদিহি আপনাদেরই করতে হবে।
কোন কিছু চাপিয়ে দিলে মেনে নেয়া হবেনা। খোলা মনে, সাংগঠনিক নিয়ম মেনে আপনাদের তৈরী করা সমস্যার সমাধান করতে জার্মানিতে আসবেন।চোরের মত করে লুকিয়ে নয়।রেস্টুরেন্টের কোনায় বসে মিও মিও করতে নয়। কানে কানে কথা বলে গিরিংগি করার জন্য নয়।
আপনাদের প্রতি দলের সাধারণ কর্মীদের যে ক্ষোভ, তার নিরসন আপনাদেরই করতে হবে।অন্যথায় আপনদের কঠিন মূল্য দিতে হবে।
ইউরোপে আওয়ামীলীগ বেঁচে থাকুক স্বমহিমায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ‘র আদর্শকে ধারণ করে।
আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হউক।
লেখক-সদস্য,
জার্মান আওয়ামীলীগ
আহ্বায়ক কমিটি।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply