বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ৫১ বছরে পা রাখলেন।
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই তার জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বছরে জন্ম নেয়ায় নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নাম রাখেন জয়।
তিনি প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দম্পতির সন্তান।
পঁচাত্তরে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় বাবা-মার সঙ্গে জার্মানিতে অবস্থান করেন জয়। পরে মা শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলে আসেন ভারত। তার ছেলেবেলা ও প্রারম্ভিক পড়াশোনা সেখানেই।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি পান। স্নাতকোত্তর করেন দেশটির হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্নের কথা বলা হয় তার স্বপ্নদ্রষ্টা জয়।
ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা করা হয়। গত এক যুগে দেশে তথ্য প্রযুক্তির যে বিকাশ হয়েছে তার অন্যতম কারিগর জয়।
জয়ের রাজনৈতিক জীবন অবশ্য শুরু ২০১০ সালে। বাবা ওয়াজেদ মিয়ার জন্মস্থান রংপুরের জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভের মাধ্যমে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ভালো প্রভাব তৈরি করেন।
নেতৃত্ব ও প্রভাবের কারণে ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন জয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে জয়ের জন্মদিন সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি এ উপলক্ষে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। এর বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি: পথিকৃৎ মুজিব হতে সজীব’।
এ ছাড়া বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে যুবলীগ আয়োজন করেছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বিকেল ৫টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করেছে কৃষক লীগ।
সারা দেশের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া-প্রার্থনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করা হবে।
Leave a Reply