রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আস্থার সংকট, চিকিৎসা সেবায়, বছরে পাঁচ লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নেয় বাংলাদেশ বিশ্বের মডেল হিসেবে কাজ করছে: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যার পর আত্নহত্যা করলেন ইতালিয়ান চিকিৎসক কুমিল্লা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা, আবার শুরু কবে স্মার্টফোনে মানুষের আসক্তি দেখে বিরক্ত মোবাইল আবিষ্কারক রিকশা হারিয়ে আহাজারি: ৩০ মিনিটে তফিজুলকে ৩৯টি নতুন রিকশার অফার ‘আপা’ বলায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন চিকিৎসক ভেনিস বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল স্কটল্যান্ডের সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত “হামজা ইউসুফ” বাজারের ইফতার, কি রঙ খাচ্ছি, কে জানে!

৯৯৯-এ ফোন করে মেহজাবিন বলেন ‘মা-বাবা-বোনকে হত্যা করেছি, আসেন’

জাগো নিউজ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
  • ৩৪০ বার
রাজধানীর কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যার ঘটনায় মেহজাবিন মুনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
 
পুলিশ বলছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বড় বোন মেহজাবীন মুন। মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন তিনি নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে। আটক মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
 
 
নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাদের মেয়ে জান্নাতুল (২০)।
 
শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানান।
 
তিনি বলেন, কদমতলীর মুরাদপুর এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
 
এসআই বলেন, নিহতের বড় মেয়ে মেহজাবিন সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বলেন, ‘মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছি। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান।’
 
 
সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
 
এছাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়েও পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ছিল মেহজাবিনের। সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য বাবা-মাকে অনেক চাপ দিতেন তিনি। এ নিয়ে এর আগে সালিশ-বৈঠকও হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে।
 
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, সকালে আমরা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আমরা মরদেহগুলো হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। মাসুদ রানার বড় মেয়ে (মেহজাবিন) তাদের হত্যা করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2023 DeshPriyo News
Designed By SSD Networks Limited
error: Content is protected !!