চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি টানা দ্বিতীয়বারের মত ফিফা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলো না।
উরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ের প্লে-অফের সেমিফাইলে বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে ই উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে রবার্তো মানচিনির দলে। সবশেষ ২০১৮ বিশ্বকাপেও খেলার সুযোগ পায়নি তারা।
কেবল নিজেদেরই দোষ দিতে পারে ইতালি। সুযোগ এসেছিল অসংখ্য, গোলের জন্য নিয়েছিল অগণিত শট। তবে লক্ষ্যে ছিল কমই, সেগুলোও পরীক্ষা নিতে পারেনি গোলরক্ষকের। এতো সুযোগ হাতছাড়ার দিতে হলো চড়া মাশুল। বাছাই পর্বেই শেষ হয়ে গেল ইউরো চ্যাম্পিয়নদের কাতার বিশ্বকাপ। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা দুই আসরে খেলা হবে না ইতালির। অন্য দিকে লড়াকু জয়ে স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল নর্থ মেসিডোনিয়া।
শুরু থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত বল কেবল ঠেকিয়ে যাওয়া দলটিই বাজিমাত করল শেষ পর্যন্ত। প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার জিতে গেল ১-০ গোলে। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে ঘরের মাঠেই শেষ হয়ে গেলে ইতালির বিশ্বকাপে ফেরার অভিযান।
১৯৫৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় ইতালি। সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি সবশেষ ২০০৬ সালে শিরোপা জেতা দলটি। এবার স্বপ্ন ভাঙল পালেরমোতে, আলেসান্দার ত্রাজকোভস্কির অসাধারণ গোলে।
ঘরের মাঠে শুরু থেকে নর্থ মেসিডোনিয়াকে ভীষণভাবে চেপে ধরে ইতালি। ‘জে’ গ্রুপে রানার্সআপ হওয়া দলকে নিজেদের অর্ধ থেকে খুব একটা বের হতে দেয়নি তারা।
বল দখল ও আক্রমণে অনেক এগিয়ে ছিল ইতালি। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সি’ গ্রুপে রানার্সআপ হওয়া ইতালি ৩০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত নর্থ মেসিডোনিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির মারাত্মক ভুলে। নিজেদের এক খেলোয়াড়কে বল বাড়াতে গিয়ে তিনি দিয়ে ফেলেন দোমেনিকো বেরার্দিকে। কিন্তু শট নিতে বেশি সময় নিয়ে ফেলেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। ততক্ষণে অনেকটাই নিজের জায়গায় চলে যান গোলরক্ষক। ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন বেরার্দির দুর্বল শট।
নিজেদের রক্ষণে সেঁধিয়ে থাকা নর্থ মেসিডোনিয়া রক্ষণে ততটা পরিকল্পিত ছিল না। বল পায়ে এলে আক্রমণ রচনার কিংবা ধরে রাখার কোনো চেষ্টা ছিল না। বেশিরভাগ সময়ই তারা এলোপাথারি লাথি দিয়ে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। ইতালির গোলরক্ষক ছাড়া বাকি ২১ জন বেশিরভাগ সময়ই ছিলেন এক অর্ধে।
৩২তম মিনিটে লরেন্সো ইনসিনিয়ের দূরপাল্লার শট কাছের পোস্টে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের ইতালির লক্ষ্যে থাকা ১৫ শটের কেবল তিনটি ছিল লক্ষ্যে, তার একটি ছিল বুলেট গতির এই শট।
৩৭তম মিনিটে জটলা থেকে চিরো ইম্মোবিলের শট নর্থ মেসিডোনিয়ার একজনের পায়ে লেগে ব্যর্থ হয়ে যায়। পরের মিনিটে প্রতি আক্রমণে বিপদে পড়তে যাচ্ছিল ইতালি। কিন্তু ডি-বক্সের ঠিক মাথায় দারুণ স্লাইডে সফরকারীদের দারুণ আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন আলেস্সান্দো ফ্লোরেন্সি।
Leave a Reply