প্রকৃতি বিভিন্ন ঋতুতে নানা রঙে ও বৈচিত্র্যে রূপ পরিবর্তনের মাধ্যমে সকলের মনে আবেগের সঞ্চার করে। প্রকৃতির এ রূপ বদল মানুষকে জানিয়ে দেয় পরিবর্তনই জীবনের চলার পথের একমাত্র সত্য। মরণশীল মানুষ এই বহুরূপী প্রকৃতিতে খুঁজে পায় আনন্দ, জন্ম নেয় উৎসব-পার্বণ। এই আনন্দযজ্ঞে মানুষের দৈনন্দিন জীবন খুঁজে পায় আবেগ, বৈচিত্র্য ও নবজীবনের সঞ্জীবনী সুধার খোঁজ। ঋতু চক্রের আবর্তনে আবার এসেছে নতুন একটি বাংলা বছর-১৪২৯।
নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসবে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সামিল হয় উৎসবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৪২৯ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। বর্ষবরণ নয় শুধু, বাঙালির অভূতপূর্ব সাংস্কৃতিক জাগরণের উৎসব। মহোৎসবে যোগ দেবে সারাদেশ। তপোবহ্নির শিখা জ্বালো জ্বালো/নির্বাণহীন নির্মল আলো…। অফুরান এই আলোয় আজ উদ্ভাসিত হবে বাংলাদেশ।
বছরের প্রথম দিনে আজ নতুন নতুন স্বপ্ন বুনবে বাংলার কৃষক। হালখাতা খুলবে ব্যবসায়ীরা। সরকারি ছুটির দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে একযোগে চলবে লোকজ ঐতিহ্যের নানা উৎসব অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষের এই সূচনালগ্নে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নববর্ষ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় সংবাদপত্রগুলো বাংলা নববর্ষের বিশেষ দিক তুলে ধরে ক্রোড়পত্র বের করেছে। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নববর্ষকে ঘিরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান: করোনার কারণে দুই বছর ওরকমভাবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়নি। এবার আবার নতুনভাবে উদযাপন করা হবে নতুন বছরকে।
পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে সারাদেশ। বর্ষবরণের এ উৎসব আমেজে মুখরিত থাকবে বাংলার চারদিক। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হবে তার সর্বজনীন এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। দেশের পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায়, অনুষ্ঠানে থাকবে কোটি মানুষের প্রাণের চাঞ্চল্য, আর উৎসব মুখরতার বিহ্বলতা।
Leave a Reply