কুমিল্লা প্রেস ক্লাব : টাকা ভাগাভাগি
করোনাকালীন সময় ও গত দুই বছর ধরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের টাকা নাকি ভাগাভাগি হয়। কার ঘর, কে কাকে রাখে আর বের করে দেয় আর কার টাকা কে ভাগ করে তা বুঝতে পারছি না। আজসহ (২৮ এপ্রিল ২০২২) গত তিন বছর ধরে এ সময়ে আমাকে টাকা নিতে ফোন করে আর আমিও ঘৃনা ভরে তা প্রত্যাখান করে আসছি।
কেন আমাকে টাকা সাদে, কার টাকা কোন ঘরের টাকা কে কাকে দিতে চায় , জানি না। আবার আমিও কেন বার বার প্রত্যাখান করে ফেসবুকে লিখছি। চেয়েছিলাম এবার লিখব না। কিন্তু বলতে পারেন একান্ত বাধ্য হয়েই সংযমের মাসে লিখছি।যদি সংশ্লিষ্টদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয় এই বিবেচনাবোধ থেকে।
১৯৯৪ সালে সাংবাদিকতায় আসার পর সম্ভবত ১৯৯৯ সালের দিকে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সদস্য হই। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।২০১৪ সালের সেপেম্বর মাসের অনুষ্ঠিত প্রেস ক্লাবের নির্বাচনেও অংশ নেই।
এখন কাজ করি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক,দৈনিক আমাদের কুমিল্লা, ব্যুরো চীফ( কুমিল্লা-ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া ও চাঁদপুর) ,দৈনিক আমাদের নতুন সময়,দৈনিক আমাদের অর্থনীতি,ডেইলী আওয়ার টাইম,আমাদের সময় ডট কমে এবং সম্পাদক হিসেবে আছি কুমিল্লা জমিন এ । জেলার অন্যতম সক্রিয় সাংবাদিকদের সংগঠন সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদকও আমি।
আগেও কুমিল্লা প্রেস ক্লাব ছিল এখনো আছে। কিন্তু আগে মিটিং ছাড়া কোন টাকার লেনদেন হয়নি এবং কেউ কাউকে বাদও দেয়নি। প্রেস ক্লাব প্রয়োজন মনে করলে সভায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে টাকা খরচ করত এবং কোন সদস্য অপরাধ করলে তার সদস্য পদ স্থগিত কিংবা বাদও দিত সভায় রেজুলেশন করে সভার সিদ্ধান্তক্রমে।
করোনাকালীন সময়ে প্রেস ক্লাবের টাকার কিছু অংশ তার সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয় বাস্তবতাকে বিবেচনা করে। নি:সন্দেহে এটা ভালো সংবাদ । কারণ , করোনার কারণে সবাই কম বেশী ক্ষতিগ্রস্থ ছিল।
কিন্তু টাকা বিতরণ করার সময় শুনলাম দুই ভাগে টাকা ভাগ হচ্ছে , ১. যারা সদস্য আর ২. যারা সদস্য না ।
যথারীতি আমাকে টাকার জন্য ফোন করা হলে আমি জানতে পারি আমি প্রেস ক্লাবের সদস্য না। ঐ ক্যাটাগরিতে আমাকে টাকা দিচ্ছে। আমি বিনয়ের সাথে জানতে চাইলাম, আমি যে প্রেস ক্লাবের সদস্য না এটা কোন সভায় বসে কোন রেজুলেশন করে সিদ্ধান্ত হলো আর টাকা ভাগাভাগির হারটাই বা কে করল। উত্তরদাতা জানাল , আমি জানি না। এটা উপরের নির্দেশ। প্রেস ক্লাবের উপরে তো ছাদ আছে । এই ছাদ আবার কিভাবে আমাকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দিতে পারে এটা আজও আমি জানি না এবং আমাকে আনুষ্ঠানিক জানানোও হয়নি।
সাংবাদিকদের দ্বিতীয় ঘর হচ্ছে প্রেস ক্লাব। আমার ঘর থেকে আমাকে বের করতে হলে যেমন সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ভিত্তিক সভার সিদ্ধান্ত থাকতে হবে এবং টাকার ভাগাভাগিটাও সভা কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে।
অথচ , আমার ঘরে আমি নেই । আমাকে কে বাদ দিল আমার টাকা ভাগ করার দায়িত্বটাও আমার ক্লাবের কোন কমিটি কত নম্বর সভায় করল তাও আমি জানতে পারলাম না।
তাই গত করোনাকালীন সময়ে , পরবর্তীতে দুই ঈদের সময় এবং এবারো আমি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অসাংগঠনিক ভাবে এবং অগঠনতান্ত্রিক ভাবে নেয়া সিদ্ধান্তের টাকা প্রত্যাখান করলাম একই সাথে নিন্দাও জানালাম।
আজ আর বেশী কিছু লিখলাম না। কারো সাথে তিক্ততাও বাড়াতে চাই না। তবে পেশাগত সম্মানের প্রশ্ন আসলে সেই ভীতু আমি বাঘের গর্জনেও নড়ে উঠি ।
সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক।
– শাহাজাদা এমরান
২৮.০৪.২০২২।
Leave a Reply