প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ কোরান মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। কোরান কোনো মানব রচিত বই নয়। কোরান আল্লাহ প্রদত্ত মুসলিমদের জন্য জীবন বিধান। সুতরাং পৃথিবীর কোথাও কোনো মুসলমান কোরানের অবমাননা সহ্য করে না। ইতালির মুসলমানরাও সহ্য করবে না। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরান অবমাননাকারীদের খুঁজে বের করে শস্তির আওতায় আনতে না পারলে ইতালির ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগণ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। দরকার হলে মুসলিম শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্মঘট পালন করবে। ইতালির মনফালকনে শহরে গত ১০ জুলাই কোরান পোড়ানো হয়েছে এবং নোংড়া ভাষায় অবমাননা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ রোববার, ১৪ জুলাই বিকেলে ভেনিসের মেসত্রের ভিয়া কোরসো দেল পপোলোর সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। জোভান্নি পের উমানিতার (মানবাধিকার সংগঠন) সভাপতি প্রিন্স হাওলাদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন, হাফেজ আবদুস সালাম, মাকসুদ রহমান, আবদুর রহমান, আন্দ্রেয়া তোমাজিন, পিয়ের আলেচ্ছান্দ্র, প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইতালি মানবাধিকারের বিষয়ে সচেতন একটি দেশ। এ দেশের সংবিধানের ১৯ ধারায় সকল মানুষের ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন এবং প্রচারের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ কিছু দিন পর পর ইতালির বিভিন্ন শহরে মুসলমানদের নামাজের স্থানগুলো প্রশাসন ঠুনকো অজুহাতে বন্ধ করে দেয়। আমরা মনে করি প্রশাসনের আস্কারাতেই আজ ইসলাম বিদ্বেষীরা কোরান অবমাননা করেছে। কুৎসিত গালাগাল করেছে। এর দায় ইতালির ডানপন্থী সরকারকে নিতে হবে। বক্তারা বলেন, আমরা জানি ইতালির প্রশাসন ইচ্ছা করলেই অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারে। তাদের হাতে সকল প্রকারের টুলস আছে। কিন্তু আমরা বিষ্মিত হয়েছি, গত ১০ তারিখে ঘটনা ঘটার পরে এখন প্রর্যন্ত প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা ইতালির মেলোনি সরকারকে পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই, স্বাধীন ভাবে ধর্ম পালন করা ইতালির সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার যে সরকার, যে আইন দ্বারা খর্ব করবে, আমরা সেই সরকার এবং আইনকে ইতালির সংবিধান বিরোধী সরকার বা আইন বলে চিহ্নিত করতে বাধ্য হবো। বক্তারা বলেন, ইতালির মুসলিম কম্যুনিটি এখন আর ভাসমান অবস্থায় নেই। এখানে মুসলমানদের কয়েক জেনারেশন বড় হয়ে উঠেছে। মুসলিমরা এ দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। মুসলিমদের বড় ভোট ব্যাংক তৈরী হয়েছে। মুসলিম শ্রমিকরা সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করে। সরকারের উচিত অন্যসব নাগরিকদের মতো মুসলিমদের সকল অধিকার নিরপেক্ষ ভাবে নিশ্চিত করা। নয়তো মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। কেউ কেউ বিপথে যেতে পারে। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। সুতরাং মসজিদ বিরোধী আইন বাতিল করতে হবে। বন্ধ করে দেয়া সকল মসজিদ খুলে দিতে হবে। কোরান অবমাননা, নারীদের মুসলিম পোষাকের বিরোধীতা করা, তিরস্কার করা বন্ধ করতে সংসদে টেকসই আইন পাশ করতে হবে।