ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের প্রায় ২শ বছরের ইতিহাসে এমন অর্জন প্রথম। এমন অর্জনের পেছনে রয়েছে অজস্র লাঞ্চনা, বঞ্চনার ইতিহাস! রয়েছে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার কষ্ট, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়ানো! এই অর্জন রক্তের দাম দিয়ে কেনা অর্জন, আলতাব আলী, ইশহাক আলীর রক্তের বিনিময়ে এই অর্জন! আতর আলী, মজর আলী, সোনাই মিয়ার মতো হাজার হাজার নাম না জানা মানুষের বিনিদ্র রজনীতে মেশিনে ঘোরা ঘামের বিনিময়ে এই অর্জন। ২শ বছর আগে জাহাজের লস্কর হয়ে ব্রিটেনের মাটিতে পা রাখা সৈদুল্লা ছিলেন প্রথম বাংলাদেশী! ২শ বছর পর, প্রথম মন্ত্রী হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পা রাখলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী দুই কন্যা রুশনারা আলী ও টিউলিপ সিদ্দিক। অভিনন্দন দুই বঙ্গকন্যাকে!
তাদের এই অর্জনে ৭ লাখ ব্রিটিশ বাংলাদেশী যেমন গর্বিত, সেই আবেগ, সেই ভালোবাসা ছুয়ে গেছে সাত সমুদ্র, তেরো নদীর ঐপাশে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে! এমন অর্জনের দিনে আশ্রয় নিতে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারীনি কবিতার শেষ চার লাইনে। “সেদিন শারদ স্বচ্ছ নিশীথে, প্রাসাদকাননে নীরবে নিভৃতে, স্তুপপদমূলে নিবিল চকিতে, শেষ আরতির শিখা!” দুই বঙ্গকন্যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে আমাদের শেষ আরতির শিখা!
আ স ম মাসুম
লন্ডন
৯ জুলাই, ২০২৪
ফেইস বুক থেকে