আবুল কালাম আজাদ, বিবিসি নিউজ বাংলা:সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই কিন্তু দ্বীপের বাসিন্দা ছাড়া সেখানে কেউ বেড়াতে যেতে পারছেন না। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন তবে থাকতে পারবেন না এমন ঘোষণা থাকলেও দ্বীপ ভ্রমণের সব ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। দ্বীপটির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন তাদের আত্মীয় স্বজনরাও বেড়াতে যেতে পারছেন না।

পর্যটন ব্যবসায়ী এবং দ্বীপের স্থানীয়রা বলছেন, সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এমন কড়াকড়ি কখনোই ছিল না যেটি গুজব সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করেছে। পর্যটন শুরু করা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তাও কাজ করছে সবার মধ্যে।

সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বাধা থাকার কথা নয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে বেড়াতে যাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদেরকেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। এমনকি নভেম্বরের চার তারিখে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেন্টমার্টিন যেতে বিবিসির এই প্রতিবেদককে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে কোস্টগার্ডকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হয়েছে।

সরেজমিন কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন ঘুরে এবং কোস্টগার্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আলাপ করে মনে হয়েছে নভেম্বর মাসেও সেন্টমার্টিন ভ্রমণে একধরনের অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা চলছে। নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন আদৌ চালু করা সম্ভব হবে কি না সেটিও নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে।

যাতায়াতের জন্য এখনো সেন্টমার্টিন রূটে পর্যটকবাহী একটিও জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ। যাত্রীবাহী ট্রলার বা সার্ভিস বোট চলাচল করলেও ভ্রমণ করতে লিখিত অনুমতি লাগছে। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ছাড়া কাউকে ভ্রমণ করতে দেয়া হচ্ছে না। দ্বীপের অধিবাসী কিনা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ট্রলারের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। দফায় দফায় কোস্টগার্ড যাত্রীদের এনআইডি যাচাই করছে।

ভ্রমণে সবদিক থেকে বাধা

নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যেতে বাধা নেই এমন ধারণা থেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে রাজশাহী থেকে বেড়াতে এসেছিলেন আয়েশা সিদ্দিকার পরিবার। কক্সবাজার সৈকত ছাড়াও সেন্টমার্টিন ঘুরে দেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু হলো না ভ্রমণ বন্ধ থাকায়।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে সেই আক্ষেপ জানান আয়েশা সিদ্দিকা পাপিয়া। এতদূর পর্যন্ত এসে সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে হতাশ তিনি।

“খুবই আপসেট। অনেকেই আমাদের মতো আশা নিয়ে আছেন। আমরা চাই এই বন্ধটা তাড়াতাড়ি খুলে দিক। যাতে তারা আমাদের মতো আপসেট না হয়।”

মিজ পাপিয়ার পরিবারটি সেন্টমার্টিন যেতে পারলো না কারণ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রূটে পর্যটনের জাহাজ চলাচল বন্ধ। গত বছর জানুয়ারিতে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে বন্ধ হবার পর ইনানী সৈকতে স্থাপিত নৌ-জেটি ব্যবহার করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক পরিবহন হয়। কিন্তু ইনানী জেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে জাহাজ চলাচলের সুযোগ নেই।

সি ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বিবিসিকে বলেন, কক্সবাজার থেকে জাহাজ দিনে গিয়ে ফেরা সম্ভব নয় তাই নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন জাহাজ যাতায়াত শুরু করতে পারবে কি না সেটি অনিশ্চিত।

“আমরা হতাশার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি। সরকারের নভেম্বর মাসে পর্যটন চালু আছে ঘোষণা, বাস্তবতার সাথে মিল নাই। টেকনাফ থেকে জাহাজ দিনে গিয়ে দিনে আসা সম্ভব ছিল। কক্সবাজার থেকে কোনোভাবেই দিনে গিয়ে দিনে আসা সম্ভব না। ইনানী থেকে চার ঘণ্টায় সেন্টমার্টিন যাওয়া সম্ভব। তবে ক্ষতিগ্রস্ত জেটি ২২ নভেম্বর নাগাদ সংস্কার হওয়ার কথা আছে সেটি ঠিক হবে কি না বলা যাচ্ছে না।”

সেন্টমার্টিন ভ্রমণের দ্রুতগামী যাতায়াদের আরেকটি ব্যবস্থা হলো স্পিডবোটে চলাচল। নিরাপত্তার বিবেচনা থেকে স্পিডবোট চলাচলও এখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া স্পিডবোট চালানোর অনুমতি দেয়া হয় না।

সেন্টমার্টিনে যাবার একমাত্র যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে সেটি হলো টেকনাফ থেকে সার্ভিস বোট বা ট্রলার। রোমাঞ্চপ্রিয় তরুণদের অনেকেই ট্রলারে চড়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করতে পছন্দ করেন কিন্তু পর্যটনের সুবিধার্থে সেই সুযোগ নেই। বরঞ্চ ট্রলারে ভ্রমণে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা অথবা প্রশাসনের লিখিত অনুমতি ছাড়া ট্রলারের টিকিট দেয়া হয় না বলে স্পষ্ট জানান টেকনাফ ট্রলার ঘাটের একজন লাইনম্যান।

অন্যদিকে ভ্রমণের জন্য কোনো অনুমোদন দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলা পরিষদে একাধিক দেয়ালে বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে ২২শে অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে কোনো অনুমতি দিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।

সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে অনুমতি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিল টেকনাফ ঘাটে। যাতায়াতে যে মারাত্মক কড়াকড়ি আরোপ চলছে সেটি বোঝা গেল লাইনম্যান ওমর ফারুকের কথায়।

“প্রশাসনের নিষেধ আছে। বাইরের লোক যাওয়াই নিষেধ এখন। শুধু স্থানীয় লোকগুলা যাবে। সেন্টমার্টিনের লোক ছাড়া কোনো লোক যাওয়াই নিষেধ করে দিছে।”

উঠে পড়লে কী হবে জিজ্ঞেস করলে বলেন, চেকপোস্ট আছে আইডি কার্ড চেক করে,” বলছিলেন ট্রলার ঘাটের লাইনম্যান ওমর ফারুক।

সেন্টমার্টিন যাওয়ার অনুমতি নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, পর্যটন পারপাসে এখন অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এখন এনজিও কর্মী, গবেষণার কাজে কিংবা সংবাদ সংগ্রহের মতো জরুরি প্রয়োজনে যারা যায় তাদেরকেই কেবল অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

“কোস্টগার্ড আমাদেরকে বলেছে যে এই অনুমতি দিতে হবে। অন্যান্য বছর এটি ছিল না। এবছর থেকেই এটা চালু হয়েছে। যদি ট্যুরিজম চালু হয় এবং জাহাজ আসা-যাওয়া করে তখন আর এই অনুমতি লাগবে না। জাহাজেতো আর অনুমতি লাগে না,” বলছিলেন মি. চৌধুরী।

লিখিত অনুমোদন থাকার পরেও স্পিডবোটে যাত্রা করতে কোস্টগার্ডের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে এই প্রতিবেদককে। শাহপরীর দ্বীপ ঘাট থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা স্পিড বোটে যাতায়াত নিষিদ্ধ উল্লেখ করে ট্রলারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট আটকে রেখে ইউএনওর সঙ্গে কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দফায় দফায় আলাপের পর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নিয়ে আমাদের স্পিডবোট ছাড়া হলো।

সেন্টমার্টিন গিয়েও কোস্টগার্ডের চেকপোস্ট রয়েছে। সেখানে নাম পরিচয় লিপিবদ্ধ করে দ্বীপে প্রবেশ করতে হয়। সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এস এম রাশাদ হায়দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে চাই ভ্রমণে এত কড়াকড়ি কেন।

স্টেশন কমান্ডার জানান, নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ভ্রমণ করতে কেউ সেন্টমার্টিন যাতে না আসতে পারে সেজন্য তারা মনিটরিং করছেন। কেউ যদি সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলে আসে তাকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার।

“সমন্বয় সাধন করেই যাওয়া আসাটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখানে যাদের অনুমতি আছে তাদের আসতে আসলে কোনো বাধা নেই। বাট ভ্রমণটা যেহেতু এখনও নিষিদ্ধ, ভ্রমণ শুরু হলে ওনারাও আসতে পারবেন।”

সরকারি সিদ্ধান্ত এবং চার নভেম্বর সোমবার সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে যাওয়া যাবে কিন্তু রাত্রীযাপন করা যাবে না। তাহলে বিধিনিষেধ কেন এ প্রশ্নে মি. হায়দার বলেন, “এখনো আসলে চালু (পর্যটন) করার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।”

সেন্টমার্টিনজুড়ে ক্ষোভ অসন্তোষ

সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকান-পাট, পর্যটনকে ঘিরে নির্মিত হোটেল রেস্তোরা সব বন্ধ। দ্বীপ ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ কটেজ, হোটেল রিসোর্ট পর্যটনের জন্য প্রস্তুত নয়। সবগুলোই বন্ধ।

ভ্রমণে এই কড়াকড়ি নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেন দ্বীপের স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী এবং বাইরে থেকে যাওয়া বিনিয়োগকারীরা।

বাইরে থেকে যারা পর্যটন খাতে দ্বীপে বিনিয়োগ করেছেন তারা পড়েছেন মারাত্মক বিড়ম্বনায়। পর্যটনের প্রস্তুতি, সেবা দেয়ার জন্য স্টাফ আনারও সুযোগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হলো। নভেম্বর মাসে পর্যটন শুরু করার প্রস্তুতি নিয়ে দ্বীপে এসেছিলেন আরিফুর রহমান রিমন। পর্যটন শুরু না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঢাকায় ফিরে গেছেন পাঁচ নভেম্বর।

তিনি বলেন, ভ্রমণের অনুমতি না থাকায় বাইরে থেকে স্টাফ এনে রিসোর্টের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারছেন না তার মতো অনেকেই।

“আমরা সেন্টমার্টিনে আট-দশ বছর ধরে বিজনেস করতেছি এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন কখনো হইনি। চার-পাঁচটা স্টেপে আমাকে পারমিশন নিয়ে আসতে হয়েছে। নরমালি এরকম আমরা কখনোই হই না। আমরা সারা বছরই সেন্টমার্টিনে আসা যাওয়া করি। এখন আমার পুরো রিসোর্টে মাত্র দুইজন স্টাফ আছে বাকিরা আসতে পারে নাই। টেকনাফ এসে আমার দুইজন স্টাফ চলে গেছে আমি আনানোর কোনো ব্যবস্থা করতে পারি নাই।”

এছাড়া সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দৈনিক দুই হাজার করে পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন যার প্রতিবাদে নিয়মিত বিক্ষোভ আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি চলছে সেন্টমার্টিনে। পাঁচই নভেম্বর সেখানে এক বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করে দ্বীপের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসীন্দারা।

সেখানে উপস্থিত একজন বলেন, “এই দ্বীপের সাথে অন্য এলাকার যারা আত্মীয়তা করছে তারাও আসতে পারতেছে না। বৌ আনলে বৌ আসতে পারতেছে না, জামাই হলে জামাই আসতে পারতেছে না। তাইলে এটা কোন ধরনের স্বাধীনতা আমরা বুঝলাম না।”

রিসোর্টের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মো. জসিম বলেন, সেন্টমার্টিনে দ্বীপের দশ হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা এবং পরিবেশ দুটোই সমান গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

“দুই মাস পর্যটন দিয়ে আমাদের বারোমাস চালানো সম্ভব না। পর্যটক যদি না আসে আমিতো উপোস থাকতে পারবো না। মানে এমন একটা পর্যায় চলে যাচ্ছে যে আমাদের এই দ্বীপ ছেড়ে চলে যাওয়া লাগবে।”

আন্দোলনের অন্যতম একজন নেতা এবং স্থানীয় বিএনপির সভাপতি নুরুল আলমের অভিযোগ দোকানের মালামাল কিনে আনতেও কোস্টগার্ডের অনুমোদন লাগছে। তিনি বলেন, “সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন দেশ, আমি যদি এখান থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতে পারলে, আমার সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের অংশ হইয়া স্বাধীনভাবে আমার বাংলাদেশের লোকজন আসতে পারবে না কেন।”

এছাড়া বিচ্ছিন্ন দ্বীপের একমাত্র হাসপাতালে সংকটের বিষয়টিও সামনে আনা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে সেন্টমার্টিনে জরুরি চিকিৎসা সেবা বলতে গেলে কিছুই পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। কারণ গত মাসখানে ধরে বিশ সজ্জার হাসপাতালে কোনো ডাক্তার নার্স, মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্ট নেই।

জরুরি চিকিৎসা সেবা সংকট, ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলোর কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে সন্দেহ অবিশ্বাস এবং গুজবের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন দ্বীপবাসী।

এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নিয়ে বিভিন্ন রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছে সরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব গুজব খণ্ডন করে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিদেশিদের লিজ দেয়ার কোনো পরিকল্পনাও নেই বলেও তুলে ধরেছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।

দ্বীপের একজন বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসে সেন্টমার্টিনের উপর দিছে নিয়ম নীতি নিষেধাজ্ঞা। তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথার সাথে বর্তমান সরকারের কাজ মিলে যাচ্ছে। এদিক থেকে দ্বীপের মানুষের মধ্যেতো অবশ্যই আতঙ্ক কাজ করবে।”

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রবাল দ্বীপের পরিবেশ জীব বৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

সোমবার পরিবেশ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “একচল্লিশ ভাগ প্রবাল ক্ষয় হয়ে গেছে এটা হচ্ছে জাতীয় পরিসংখ্যান। আন্তর্জাতিক সকল গ্রহণযোগ্য জার্নালে বলা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫ সালের মধ্যে সকল কোরাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপটা ডুবে যাবে তখন তাহলে পর্যটনটা থাকবে কোথায়?”

তিনি বলেন সেন্টমার্টিনটা বাঁচাবো একই সাথে পর্যটনটাও বাঁচাতে হবে। পর্যটনটা আমরা কিন্তু নিষেধ করিনি।

Leave A Reply

আমাদের সম্পর্কে

যোগাযোগ ও আমাদের সম্পর্কে

All rights reserved by Desh Priyo News | Design and Developed by Sudipta Acharjee

Exit mobile version