২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন এক ইতিহাস গড়েছিলেন সাবিনা খাতুনেরা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জেতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে বাংলাদেশ মেতে ওঠে বাধভাঙা উল্লাসে, যার ঢেউ আছড়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। ট্রফি নিয়ে ঢাকায় ফেরার পর ছাদখোলা বাসে ফুটবলারদের নিয়ে আসা হয় মতিঝিল বাফুফে ভবনে।
সেই সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের গৌরব ধরে রাখার কঠিন পরীক্ষাই এখন বাংলাদেশের সামনে। আগামী ১৭ থেকে ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতেই হবে এ বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আজ ঢাকার একটি হোটেলে সাফের সাধারণ কংগ্রেসে হয়ে গেল এ বছর সাফের ছেলে ও মেয়েদের তিনটি টুর্নামেন্টের ড্র। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল মেয়েদের জাতীয় দলের টুর্নামেন্ট নিয়ে।
নারী সাফে বাংলাদেশ পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে। সঙ্গী ভারত ও পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটান।
বাংলাদেশের গ্রুপিং অনেকটা গতবারের মতোই হয়েছে। গতবারও বাংলাদেশের গ্রুপ সঙ্গী ছিল ভারত ও পাকিস্তান। সঙ্গে মালদ্বীপ। এবার গ্রুপে তিনটির বদলে বাংলাদেশকে খেলতে হবে দুটি ম্যাচ। গত সাফ জয়ের পথে বাংলাদেশ গ্রুপের ৩ টিসহ ৫টি ম্যাচই জেতে। গ্রুপে কোনো গোল না খেয়েই করেছে ১২ গোল। পাকিস্তানকে ৬-০, মালদ্বীপকে ৩-০, ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়ে উঠে আসে শেষ চারে। সেমিতে ভুটানকে উড়িয়ে দেয় ৮-০ গোলে।
আজ সাফের আরও দুটি টুর্নামেন্টের ড্র হয়েছে। এই দুটি ছেলেদের টুর্নামেন্ট। ১৬ থেকে ২৬ আগস্ট নেপালে অনুষ্ঠেয় ছেলেদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফের ‘এ’ গ্রুপে নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পড়েছে বাংলাদেশ।’ বি’ গ্রুপে ভারত, মালদ্বীপ ও ভুটান। অনূর্ধ্ব-১৭ ছেলেদের সাফেও ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ। অন্য দুই দল ভারত, মালদ্বীপ।’ বি’ গ্রুপে স্বাগতিক ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টটি ১৮ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর হবে ভুটানে।
সাফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালসহ সাফের পাঁচ দেশের প্রতিনিধিরা ড্রতে উপিস্থিত ছিলেন। মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলেন অনলাইনে।